রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাবনা
পুরাতন কাঠামো নয়, নতুন ধারণায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশ
১. নতুন ধরনের রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থা
- প্রাইভেট সেক্টরের মতো রাষ্ট্র চালাতে হবে — KPI, Efficiency, এবং Public Feedback ভিত্তিক।
- মন্ত্রী ও আমলাদের জন্য পারফরম্যান্স ট্র্যাকার ড্যাশবোর্ড চালু।
- জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের জন্য "ডিজিটাল সিটিজেন ফিডব্যাক পোর্টাল"।
২. নির্বাচন ব্যবস্থায় স্টার্টআপ স্পিরিট
- নির্বাচন কমিশন হবে একটি স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটালাইজড অটোনোমাস বডি।
- সকল নির্বাচনী প্রার্থীর Real-Time Fund Tracking System চালু।
- ভোটারদের জন্য "নির্বাচনী ফিড" অ্যাপ, যেখানে তারা প্রার্থীদের ডেটা ও ইশতেহার দেখতে পারবেন।
৩. বিচারব্যবস্থা = সাস প্রোডাক্ট
- অনলাইন কোর্ট, ভার্চুয়াল ট্রায়াল এবং AI-assisted case sorting সিস্টেম চালু।
- মামলার অগ্রগতি SMS-এ জানানো হবে, যেন মানুষ কোর্টকে ভয় না করে।
- বিচারক নিয়োগে মেধা ও পারফরম্যান্স বিশ্লেষণভিত্তিক অ্যালগরিদম ব্যবহার।
৪. আমলাতন্ত্রে ইনোভেশন
- সরকারি ফাইলিং ও অনুমোদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি Paperless Workflow System-এ রূপান্তর।
- আমলাদের জন্য Gamified Performance Appraisal System।
- সকল প্রকল্পের জন্য Public Transparency Portal — প্রকল্পের খরচ ও অগ্রগতি পাবলিকলি দেখা যাবে।
৫. দুর্নীতি? Let's kill it with tech
- Blockchain-ভিত্তিক লেনদেন, চুক্তি ও প্রকল্প তদারকি ব্যবস্থা।
- দুর্নীতির রিপোর্ট করার জন্য গোপন Citizen Whistleblower Platform।
- প্রতিটি সরকারি খরচের লাইভ আপডেট — "ট্যাক্স টাকার ব্যবহার, জানার অধিকার"।
৬. নাগরিক অধিকার = ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
- জাতীয় পরিচয়পত্র হবে একটি Super App ID — যেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর, পাসপোর্ট সব সংযুক্ত।
- সরকারি সেবায় সময়সীমা বাধ্যতামূলক — না হলে স্বয়ংক্রিয় জরিমানা।
- প্রতিটি নাগরিকের জন্য Digital Citizen Dashboard থাকবে।
৭. অর্থনীতি চালাবে উদ্যোক্তা, শুধু আমলা নয়
- SME ও স্টার্টআপদের জন্য স্বয়ংক্রিয় ঋণ ব্যবস্থা (AI-based risk scoring)।
- "Business in 48 Hours" প্ল্যাটফর্ম — কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, টিন, ব্যাংক একাউন্ট, সব অনলাইনে।
- নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি ফান্ড ও মেন্টরশিপ অ্যাক্সেস।
৮. শিক্ষা হবে স্কিলফোকাসড, চাকরি নয়—সমাধান তৈরি করবে
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রিসার্চ ও স্টার্টআপ ইনকিউবেশন সেন্টার বানানো।
- ক্লাসে কোডিং, ডিজাইন থিংকিং, ক্রিটিক্যাল থিংকিং বাধ্যতামূলক।
- "শিখে যা, বানিয়ে দেখাও" — প্রজেক্ট-ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু।
৯. নাগরিক-প্রশাসন সম্পর্ক হবে Collaboration
- প্রশাসনে "Public Hackathon" চালু — সমস্যার সমাধান নাগরিকরাই দেবে।
- ওপেন ডেটা পলিসি — জনগণ সব সরকারি ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
১০. ভবিষ্যৎবান্ধব ও টেকসই রাষ্ট্র
- পরিবেশবান্ধব শহর পরিকল্পনা — EV, Urban Farming, Smart Drainage।
- কার্বন ক্রেডিট মার্কেট চালু করে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট আনা।
১১. নিরাপত্তা ও সংহতি
- রাজনৈতিক সহিংসতার পরিবর্তে প্রতিযোগিতামূলক নীতি ও ইনোভেশনে ফোকাস।
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে Unity Lab for Youth।
- প্রবাসীদের ইনভেস্টমেন্ট ও জ্ঞান বিনিয়োগে "Diaspora Tech Partnership" চালু।
উপসংহার
এটা আমাদের ভবিষ্যতের রূপরেখা।
এই দফাগুলো শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এগুলো হচ্ছে ডিজাইন চিন্তা করে তৈরি করা প্রোটোটাইপ বাংলাদেশ।
© Shahria Jaman Khan.RSS